ঢাকা কমার্স কলেজে রোটার্যাক্ট ক্লাব জাতীয় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
দর্পণ রিপোর্ট : রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা কমার্স কলেজের স্বাগতিকতায় রোটার্যাক্ট জেলা সংগঠন ৩২৮১ বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ ‘৩৬তম রোটার্যাক্ট জেলা এসেম্বলি-ইনসাইট ২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ মে ২০১৯ ঢাকা কমার্স কলেজের প্রফেসর কাজী ফারুকী অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে দ্বৈত খেতাবধারী বীর উত্তম ও বীর বিক্রম নৌ-কমান্ডো ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর কমান্ডার কমোডর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারি গভর্নর এএফএম আলামগীর এফসিএ, গভর্নর ইলেক্ট এম খায়রুল আলম, গভর্নর নমিনি ডেজিগনেটেড ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, ডিস্ট্রিক্ট রোটার্যাক্ট কমিটির চেয়ারম্যান- ডিআরসিসি ড. মো. ইকবাল করিম, ডিআরসিসি ইলেক্ট মো. মকবুল হোসেন, ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা কমার্স কলেজের চার্টার প্রেসিডেন্ট ও ক্লাব মডারেটর অধ্যাপক এস এম আলী আজম, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা পল্টনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সভাপতি ইলেক্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, রোটার্যাক্ট পার্টনার ইন সার্ভিস কমিটি চেয়ারম্যান-পিএসসিসি ফরহাদ হোসেন বিপু, ডিস্ট্রিক্ট রোটার্যাক্ট রিপ্রেজেনটেটিভ-ডিআরআর সাহাজ উদ্দিন ঢালী, ডিআরআর ইলেক্ট মো. আবু বকর সিদ্দিক রূপম, ডিআরআর নিমিনি কাওসার আহমেদ রুবেল, প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ ও ক্লাব সভাপতি ইলেক্ট মো. নাবির হোসেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে রিসোর্স পার্সন ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটের ডেপুটি জাতীয় কমিশনার মো. জিয়াউল হুদা হিমেল, ডিআরআর (১৯৯৯-২০০০) এম ফিরোজুল আলম, ডিআরআর (২০০৪-২০০৫) আশরাফুজ্জামান নান্নু, ডিআরআর (২০০৫-২০০৬) একিউএম আতিকুর রহমান, ডিআরআর (২০১২-২০১৩) মোহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান, ডিআরআর (২০১৩-২০১৪) মো. আশিকুর রহমান মিশু, রোটারি ক্লাব অব রাজধানী সোনারগাঁও এর রোটারিয়ান জাহিদুল ইসলাম, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা বুড়িগঙ্গার প্রাক্তন সভাপতি জুলফিকার আসাদ দ্বীপ ও নারায়ণগঞ্জ আপটাউন ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় কুমার রায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিআরআর (২০১৭-২০১৮) মো. মাসুম উল আলম, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা কমার্স কলেজের প্রাক্তন সভাপতি পার্থ সারথী ভৌমিক, মো. বোরহানুল ইসলাম, নাহিদ মুন্সী, সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সভাপতি নমিনি মো. তরিকুল ইসলাম ।
প্রোগ্রামের সচিব ছিলেন আহসানুর রহমান জিম, কোষাধ্যক্ষ আয়েশা ইসলাম, স্মরণিকা সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও চিফ লিয়াজো অফিসার ছিলেন রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা বুড়িগঙ্গার প্রাক্তন সভাপতি এম মোস্তাফিজুর রহমান।
কর্মসূচিতে সভাপতি, প্রাক্তন সভাপতি, সভাপতি ইলেক্ট, সচিব, যুগ্ম সচিব, কোষাধ্যক্ষ, ফিন্যান্স পরিচালক, ক্লাব সেবা পরিচালক, সমাজ সেবা পরিচালক, আন্তর্জাতিক সেবা পরিচালক, পেশা উন্নয়ন সেবা পরিচালক, সাজেন্ট অ্যাট আর্মস ইত্যাদি পদে দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং জীবন দক্ষতা, নৈতিকতা, আচরণ ও উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
সবশেষে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, অভিনয়, নৃত্য, কৌতুক ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে রোটার্যাক্টবৃন্দ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইউনিটি সোস্যাল এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন-আসকো এর সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
রোটার্যাক্ট জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দেশের প্রায় ২শ ক্লাবের ৫ শতাধিক রোটার্যাক্ট সদস্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন রোটারি ও রোটার্যাক্ট ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে কমোডর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী বলেন, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বৈষম্য ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ৩০ লক্ষ লোক জীবন দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা ব্যক্তিগতভাবে কিছু পাওয়ার জন্য নয়, কেবল দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। তিনি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সংগ্রাম করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থী ও যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরদ্ধে লড়াই করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।
উল্লেখ্য, ‘রোটারি’ ও ‘অ্যাকশন’ শব্দদ্বয় থেকে ‘রোটার্যাক্ট’ শব্দটি নেয়া হয়েছে। রোটার্যাক্ট ক্লাব ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের নিয়ে গঠিত বৃহৎ আন্তর্জাতিক যুবসেবা সংগঠন। ১৯০৫ সালে পল হেরিস কর্তৃক গঠিত রোটারি আন্তর্জাতিক ক্লাবের অভিভাবকত্বে রোটার্যাক্ট ক্লাব গঠন করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৪টি দেশে ১০ হাজার ৯শ ৪টি রোটার্যাক্ট ক্লাবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৭শ ৯২ জন রোটার্যাক্টর রয়েছে।