ঢাকা কমার্স কলেজ দর্পণ

DHAKA COMMERCE COLLEGE DARPON
ঢাকা কমার্স কলেজে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্বাধীনতা স্বর্ণপদক প্রদান


ঢাকা কমার্স কলেজে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্বাধীনতা স্বর্ণপদক প্রদান

দর্পণ রিপোর্ট : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ৩১ মার্চ ২০১৯ ঢাকা কমার্স কলেজে আলোচনা সভা ও ঢাকা কমার্স কলেজ স্বাধীনতা স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক ও গভর্নিং বডির সদস্য এএফএম সরওয়ার কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি-কে ঢাকা কমার্স কলেজ স্বাধীনতা স্বর্ণপদক ২০১৯ প্রদান করেন ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর মো. মোজাহার জামিল ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক এস এম আলী আজম।
এর আগে আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস চিত্র প্রদর্শনী ও সমাজকল্যাণ ক্লাব আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। সমাজকল্যাণ ক্লাব আয়োজিত বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হক।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা কমার্স কলেজে ২৬ মার্চ ২০১৯ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্বাধীনতা দিবস লোকজ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ল্যাংগুয়েজ ক্লাব প্রকাশিত দেয়ালিকা উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)। ২৮ ও ৩০ মার্চ ২০১৯ ফিল্ম ক্লাব আয়োজিত ৫ম মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের সাফল্যে সারা দেশ যেমন বিস্মিত তেমনি আমিও বিস্মিত! তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বঙ্গমাতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে ইতিহাস বিকৃতির সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা থেকে আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখান না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারেন’। স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রকৃত রূপ তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রত্যাখান করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের সারিতে বাংলাদেশকে দেখা যাবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রতি শিক্ষার্থীদের দৃঢ় বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান। কলেজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি অবদান রাখতে চান। সেই লক্ষ্যে তিনি কলেজ হোস্টেল নির্মাণে জমির ব্যবস্থা করার ঘোষণাও প্রদান করেন।  
বিশেষ অতিথির ভাষণে মো. আসলামুল হক বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। তিনি ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এ সময় তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও শহীদ বুদ্ধিজীবী, বাঙালির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কথা গভীর শ্রদ্ধার স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা মানেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তবায়ন।’ ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার মানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘পরপর তিনবার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলো, সেই প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে আমি গর্ববোধ করি। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি ধূমপানমুক্ত ও স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত তাই তিনি তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা শিক্ষার্থী যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা এবং কলেজের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন।
সভাপতির ভাষণে প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, ২১ বছর যাবত আমি এই কলেজের সাথে জড়িত। আজকের এই কলেজের সুনাম, অর্জন সবই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। পরিশেষে তিনি বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজ বাংলাদেশের একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। এ কলেজে প্রতিবছরই যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় দিবসসমূহ উদ্যাপন করা হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বর্ণপদক প্রদান করার মাধ্যমে ঢাকা কমার্স কলেজ গভর্নিং বডি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত।

 

  31 Mar, 2019